বিনোদন প্রতিবেদক:
জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু আর নেই। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আইয়ুব বাচ্চুর সহকর্মী সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার শামীম মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
স্কয়ার হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. মো. নাজিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আইয়ুব বাচ্চুকে অসুস্থাবস্থায় তার গাড়িচালক সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তখনই আমরা ধারণা করেছিলাম যে তিনি হয়তো মারা গেছেন। কারণ তখনই তার মুখ দিয়ে লালা বের হচ্ছিলো। তবু আমাদের ডাক্তারদের একটি বিশেষজ্ঞ দল তার দেখাশোনা করে এবং সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশের ব্যান্ড সঙ্গীত জগতের নক্ষত্র আইয়ুব বাচ্চুর জন্ম ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে। তিনি একাধারে গায়ক, লিডগিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার, প্লেব্যাক শিল্পী ছিলেন।
সংগীত জগতে আইয়ুব বাচ্চুর যাত্রা শুরু হয় ‘ফিলিংস’-ব্যান্ডের মাধ্যমে ১৯৭৮ সালে। এর আগে তিনি টানা দশ বছর সোলস ব্যান্ডের সাথে লিড গিটারিস্ট হিসেবে যুক্ত ছিলেন।
অত্যন্ত গুণী এই শিল্পী তার শ্রোতা-ভক্তদের কাছে এবি (AB) নামেও পরিচিত। তার ডাক নাম রবিন।
আইয়ুব বাচ্চুর জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘এই রূপালি গিটার ফেলে একদিন…’‘হাসতে দেখো গাইতে দেখো’, ‘সেই তুমি কেন এতো অচেনা হলে’, ‘এক আকাশের তারা তুই একা গুনিসনি’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘উড়াল দেবো আকাশে’, ‘আমি বারো মাস তোমায় ভালোবাসি’ প্রভৃতি।
তার একক অ্যালবামের মধ্যে- রক্তগোলাপ (১৯৮৬), ময়না (১৯৮৮), কষ্ট (১৯৯৫), একা (১৯৯৯), রিমঝিম বৃষ্টি (২০০৮), বলিনি কখনো (২০০৯) ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এলআরবি ব্যান্ডের অ্যালবামের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- জীবনের গল্প (২০১৫), ফেরারী মন (১৯৯৬)।
কিংবদন্তি এই সংগীতশিল্পীর জীবনাবসানে শোকের ছায়া নেমেছে সারা দেশে। শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও তার স্মৃতিচারণ করছেন ভক্ত, শ্রোতা ও সাধারণ মানুষ।