ক্রীড়া ডেস্ক :
শনিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খানের শপথ নেয়ার কথা। তার আগে সাঙ্গাকে নিয়ে শ্রীলংকায় শুরু হয়ে গেল নতুন জল্পনা। শ্রীলংকার মিডিয়া তাকে ইমরান খানের সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করে দিয়েছে।
আগামী বছর শ্রীলংকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সাবেক উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান সাঙ্গাকারার। স্থানীয় গণমাধ্যমে এমন খবর চাউর হলে জবাবে সাঙ্গা খোলাসা করে বলেন, ‘তার এ রকম কোনো অভিলাষ নেই’।
সম্প্রতি ক্রিকেট মাঠ থেকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইমরান খান। পাকিস্তানের এই সাবেক তারকা ক্রিকেটার খেলা ছেড়ে যেভাবে রাজনীতিবিদ হয়েছেন তেমন নেতা হওয়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই কুমার সাঙ্গাকারার।
লংকার সাবেক তারকা ক্রিকেটার সোমবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, রাজনীতির পেয়ালায় চুমুক দিতে অরুচি তার। কিন্তু কেন এ কথা বললেন শ্রীলংকার ব্যাটিং লিজেন্ড?
ইমরানের মতো সাঙ্গাকারাও সাবেক অধিনায়ক। তিনিও ক্যারিশমাটিক ক্রিকেটার ছিলেন। দুয়ে দুয়ে চার মিলিয়ে শ্রীলংকার গণমাধ্যম তাই ইমরানের মতো সাঙ্গারও রাজনীতিতে প্রবেশের সম্ভাবনার দেখছে।
কিন্তু ৪০ বছর বয়সী সাঙ্গাকারা এক বিবৃতিতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে বলেন, আমি এই গুজব ও জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাতে চাই চিরদিনের জন্য। সবাইকে দ্ব্যর্থহীনভাবে জানিয়ে দিতে চাই যে, রাজনীতিতে নামার কোনো আকাংখা আমার নেই। কখনও ছিল না, এখনও নেই, ভবিষ্যতেও থাকবে না।
রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে সংযুক্ত করতে সাঙ্গার যতই অনীহা থাকুক না কেন, এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে, দ্বীপদেশের বেশ কয়েকজন লিজেন্ড ক্রিকেটার রাজনীতিতেও সফলতার পরিচয় দিয়েছেন।
শ্রীলংকার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভার একজন সদস্য।
আরেক সাবেক অধিনায়ক সনথ জয়সুরিয়াও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
যাইহোক, ২০১৫ সালের আগস্টে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন সাঙ্গাকারা। ১৩৪ টেস্ট ম্যাচে ১১টি ডাবল সেঞ্চুরিসহ ১২,৪০০ রান করেছেন তিনি। সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে বিবেচিত সাঙ্গাকারার অবশ্য সৌভাগ্য হয়নি বিশ্বকাপ জেতার। ২০১১ বিশ্বকাপে শ্রীলংকাকে ফাইনালে তোলার পর ভারতের কাছে হেরে যায় সাঙ্গাকারার দল।