আর্ন্তজাতিক ডেস্ক :
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বর্তমান যুগের শিমার হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
তিনি বলেন, নেতানিয়াহু সম্প্রতি ইউরোপ সফরে গিয়ে নিজেদেরকে মজলুম হিসেবে তুলে ধরে দাবি করেছেন ইরান লাখ লাখ ইহুদিকে ধ্বংস করতে চায়। কিন্তু ইরান যে সমাধানের পন্থা বাতলে দিয়েছে তা হলো সম্পূর্ণ যৌক্তিক এবং গণতান্ত্রিক নীতিমালার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
রোববার সন্ধ্যায় দেশের প্রখ্যাত গবেষক ও অধ্যাপকদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন বলে দেশটির গণমাধ্যম প্রেসটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ইউরোপীয় সরকারগুলোর সমালোচনা করে খামেনি বলেন, ইউরোপীয়রা নেতানিয়াহুর অভিযোগ শুনেছে আর মাথা নেড়েছে। কিন্তু তারা একবারও বলেনি, তোমরাই (নেতানিয়াহু) তো গাজা ও বায়তুল মুকাদ্দাসে অপরাধ করে যাচ্ছ।
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা বলেন, প্রকৃত ফিলিস্তিনিদের অংশগ্রহণে গণভোট আয়োজনই হচ্ছে ফিলিস্তিন সমস্যার যৌক্তিক সমাধান।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে বিশ্বের সবার কাছে গ্রহণযোগ্য পন্থা অর্থ্যাৎ জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে। অন্তত ৮০ বছর ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে বংশ পরম্পরায় যারা বসবাস করেছে তাদের অংশগ্রহণে গণভোটের আয়োজন করতে হবে। ফিলিস্তিনের ভেতরে ও বাইরে থাকা মুসলমান, ইহুদি ও খ্রিস্টানসহ সব প্রকৃত ফিলিস্তিনি এ গণভোটে তাদের মতামত দেবে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ফিলিস্তিনের সব প্রকৃত নাগরিকের অংশগ্রহণে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব ইরানের উদ্যোগে জাতিসংঘে উত্থাপন ও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি প্রশ্ন করে বলেন, এটা কি আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাহলে কেন ইউরোপীয়রা তা মানতে রাজি নয়?