‘আনোয়ারার তরুণ উদ্যোক্তা সাজ্জাদ’
কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
গত কয়েক বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়লেও সাথে-সাথে বেড়েছে পার্সেলে মাংসের অর্ডারও। এক সময় মানুষ বুঝতো শুধুই চিঠিপত্র বা গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র আদান-প্রদানে ঘরে ই-কুরিয়ার সার্ভিস। গেল কয়েক বছরে সেই ধারণা পুরোপুরি বদলে গেছে। ই-কমার্সে কেনাকাটা বৃদ্ধি পাওয়ায় পণ্য পরিবহনে গুরুত্ব বেড়েছে হোম সার্ভসেও।ডিজিটালাইজেশন তথা স্মার্ট ফোন, ইন্টারনেট, অ্যাপভিত্তিক কেনাবেচায় বাজারে এসেছে শতাধিক অনলাইন বা অ্যাপভিত্তিক ই-কুরিয়ার সার্ভিস। কিন্তু এবার চট্টগ্রাম শহরে ব্যতিক্রম কিছু নিয়ে এসেছে এজেএস এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
২০১৮ সালে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় তরুণ উদ্যোক্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন যাত্রা শুরু করেন ‘ক্লিকে ঘরে যাবে মাংস’। এজেএস এগ্রো নিজস্ব খামারে দেশীয় পদ্ধতিতে লালিত-পালিত প্রাণীগুলো একদম নিরাপদ। আর গ্রামীণ পরিবেশে একদম নিবিড় পরিচর্যার মধ্যে বেড়ে উঠে। প্রি-বুকিং এর ভিত্তিতে সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার ও শুক্রবার সকালে সুস্থ এবং হৃষ্টপুষ্ট পশুগুলো হালাল উপায়ে জবাই করে সর্বোচ্চ এক থেকে দুই ঘন্টার মধ্যে ফ্রেশ মাংস ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেই। প্রায় ১০০গুণ বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় মাংসের অর্ডার ও বিক্রি।
পার্সেল ডেলিভারিতে।করোনাকালে হোম সার্ভিসের চাহিদা বাড়ায় প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থান হয়েছেন বেশ কয়েকজন যুবকের। তাদের মধ্যে উচ্চশিক্ষিত যুবকও এ পেশায় আগ্রহী হয়ে যুক্ত হয়েছেন। ফলে স্মার্টনেসের সঙ্গে বেড়েছে পেশাদারিত্বের মানও। এজন্য কদর বেড়েছে এজেএস এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের। দ্রুততর সময়ে ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দিচ্ছেন তারা। এ কাজে তাদের মূল ভরসা ডেলিভারি ম্যান। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ঘরে বসে সেবা পাচ্ছেন ভোক্তারা। এক থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্নস্থানে ডেলিভারি করছে ফ্রেশ মাংস।
প্রতি বছর কোরবানিতে ভোক্তাদের সুবিধার্থে ভাগে গরু এবং খাসি ছাগল কোরবানি দিয়ে থাকেন। সেবাটি ভোক্তাদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে দিন-দিন। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এখন এই সেবা ডিজিটাল হয়েছে। এখন ক্রেতা বা বিক্রেতা স্মার্ট ফোনে ওয়েবসাইট, ফেসবুক, হুয়াটসাফের মাধ্যমে অর্ডার করে থাকে। এতে করে মানুষের দোরগোঁড়ায় এখন হোম ডেলিভারি সার্ভিসটা জনপ্রিয় হয়েছে এজেএস এগ্রো’র। এজেএস এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, শুরুতে অনেক বাঁধা বিপত্তির মধ্যে দিয়ে গেছে আমাদের। করোনাকালীন সময়ে বেশ পরিচিত লাভ করি। ঘর বন্দি মানুষের মাংসের চাহিদা মেটাতে অনেকটায় সক্ষম হয়েছি আমরা।
তখনই মাংসের চাহিদা অনেক, কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী বাজারে মাংস পাওয়া গেলেও স্বাস্থ্যসম্মত ফ্রেশ মাংসের খুবই অভাব ছিল। সে থেকে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করি মানুষকে স্বাস্থ্যসম্মত ফ্রেশ মাংসের যোগান দিতে কাজ করে যাব। মানুষ পাবে ঘরে বসে স্বাস্থ্যসম্মত ফ্রেশ মাংস।
ফোন বা অনলাইনে আমাদের সাইটে প্রবেশ করে অর্ডার করলে আমাদের কর্মীরা পৌঁছে দিবে মাংস। তিনি আরো জানান, করোনাকালে আমাদের অর্ডার দ্বিগুণ হয়েছে। আমরা ডেলিভারি ম্যান দিয়ে দ্রুতই অর্ডারগুলো ক্রেতার বাসায় পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছি। এখন মানসম্মত মাংসের চাহিদা বেশি।