নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা স্থগিত রাখার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিভিশন আবেদনটি সরাসরি বাতিল করে এ আদেশ দেন। এর ফলে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে এই মামলার বিচারকাজ চলতে আর কোনো বাধা রইলো না।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
এর আগে, গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান এক আদেশে বলেন, খালেদা জিয়া যেহেতু ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ আদালতে হাজির হচ্ছেন না, সেহেতু তার অনুপস্থিতিতেই এ মামলার বিচার কাজ চলবে। ওই আদেশের বিরুদ্ধেই হাইকোর্টে রিভিশন আবেদনটি করেছিলেন খালেদা জিয়া।
এ প্রসঙ্গে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, গত ১০ অক্টোবর আবেদনটির ওপর শুনানি হয়। আদালত আজ আদেশে আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন। তার মানে হল, খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই বিচার চলবে।
২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। এরপর খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করেন।
দুর্নীতির এই মামলায় মোট আসামি চার জন। খালেদা জিয়া ছাড়া অভিযুক্ত অন্য তিন আসামি হলেন— খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।