চট্টগ্রাম ব্যুরো :
চট্টগ্রাম নগরীর চৈতন্য গলির বাইশ মহল্লা কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। এই সময় আইয়ুব বাচ্চুর আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্খী, ভক্ত-অনুরক্তসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বাদ আছর জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা পড়ান জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সৈয়দ আবু তালেব মো. আলাউদ্দিন। জানাযা ছিল মানুষে কানায় কানায় পূর্ণ । মসজিদের পাশের রাস্তায়ও ছিল মানুষের ঢল। অনেকের চোখে ছিল পানি। আবার অনেকে পড়েছেন দোয়া-দরুদ। আর সবার সামনে খাটিয়ায় শুয়ে ছিলেন সদ্য প্রয়াত বাংলা ব্যান্ড সঙ্গীতের কিংবদন্তী আইয়ুব বাচ্চু।
জানাযায় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, নগর বিএনপির সভাপতি ডা.শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর ও নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু প্রমুখ।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রামের এ প্রিয় সন্তানের জন্য নগরের যে কোনো স্থানে একটি আবক্ষ মূর্তি বসানো হবে। এ ব্যাপারে করপোরেশনের সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মাত্র ৫৬ বছর বয়সে আইয়ুব বাচ্চু শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জনপ্রিয় এই শিল্পীর মৃত্যুতে সারাদেশে শোকের ছায়া নেমে আসে। দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যান্ড এলআরবির দলনেতা আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন একাধারে গায়ক, গিটারবাদক, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক।
১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রাম শহরে জন্মগ্রহণ করেন এ গুণী শিল্পী। সংগীত জীবনের দীর্ঘ চার দশকে অসংখ্য হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া গান তিনি উপহার দিয়েছেন শ্রোতাদের।