নিজস্ব প্রতিবেদক :
ইউরোপের দেশগুলোতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের ওপর ডিউটি ও কোটামুক্ত বাণিজ্য সুবিধা বন্ধ হয়ে গেলে পোশাক শিল্প বড়ধরনের ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। খাজানার গার্ডেনিয়া ব্যানকুয়েট হলে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে শ্রমের মানোন্নয়ন’ শীর্ষক এক সংলাপে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এমন উদ্বেগের কথা জানান।খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘ভবিষ্যতে ইউরোপের দেশগুলোতে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক শিল্পের ওপর ডিউটি ও কোটামুক্ত বাণিজ্যের সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। এখনই উদ্যোগ না নিলে বাংলাদেশ বড় ধরনের ধাক্কা খাবে। তবে সুযোগ রয়েছে এসডিজি বাস্তবায়ন করে শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের মতো এসডিজি প্লাসের সুবিধা পাবার।’মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, ‘এসডিজি প্লাসের সুযোগ পেতে হলে শ্রমের মান, শ্রমিকের অধিকার, নিরাপত্তা, কর্মের পরিবেশসহ বেশ কিছু বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। সরকার অনেকগুলো কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে। শুধু মানলে হবে না বাস্তবায়ন করতে হবে।’‘মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে হলে নন ফরমাল শ্রমিক আউটসোর্সিংসহ অনেক বিষয় নীতিমালায় আনতে হবে।’সিপিডির গবেষণার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা মোটেই চিন্তিত নই। আরও ১০ বছর সময় রয়েছে, এর মধ্যে বাংলাদেশ অনেক দূর পৌঁছে যাবে। আমেরিকা তো জিএসপি বাতিল করেছে। তাতে কি আমাদের রপ্তানি কমেছে? কমেনি। সুতরাং আমার মনে হয় না আমাদের ঝুঁকিতে পড়তে হবে।’‘তাছাড়া আমরা ইতমধ্যে অ্যাকর্ড’র ৯০ শতাংশ শর্ত পূরণ করেছি। অন্যান্য শর্ত পূরণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমার মনে হয় আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশ অনেক দূর পৌঁছে যাবে।’এ সময় বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীরা ব্যবসা পরিবর্তন করতে পারবো। কিন্তু পোশাক খাতে ৪৪ লাখ শ্রমিক রয়েছে, তাদের কথা ভাবতে হবে। তারা তো দ্রুত অন্য কাজ শিখতে পারবে না।’‘রানা প্লাজা ট্রাজেডির পর গার্মেন্ট শিল্পে অনেক পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু সেসবের কোনো প্রচার নেই। বিদেশে শুধু নেগেটিভ প্রচারণা চলছে। আমাদের অর্জনগুলো প্রচার করতে হবে।’অনুষ্ঠানে অংশ নেন সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, মোস্তাফিজুর রহমান ও ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সেক্রেটারি জেনারেল ওয়াজেদুল ইসলাম প্রমুখ