চট্টগ্রামে বিদ্যুতের ভেল্কিবাজিতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে জনজীবন। মঙ্গলবারও (২১ এপ্রিল) কালবৈশাখী ঝড় আর বাতাস শুরু হলে চলে যায় বিদ্যুৎ। এতে কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন ছিলো নগরের বেশ কয়েকটি এলাকা।
করোনা ভাইরাসের কারণে বিভিন্ন বড় বড় শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পরও বিদ্যুতের এমন ভেল্কিবাজিতে অতিষ্ঠ নগরবাসী। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের দাবি কালবৈশাখী বাতাসের কারণে খুলশীসহ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ লাইনে গাছ ভেঙে পড়ে। এ জন্য নিরাপত্তার স্বার্থে সাময়িক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরের কোতোয়ালী, পাঁচলাইশ, খুলশী, চকবাজার ও বহদ্দারহাটসহ অনেক এলাকায় দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১০ বার বিদ্যুৎ চলে যায় । শুধু আজ নয়, কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ এর ভেল্কিবাজি চলছে।
নগরের নিউমার্কেট এলাকার বাসিন্দা মো. এনামুল হক বলেন, এখনতো প্রায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এরপরও কেন লোডশেডিং? মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ বার বিদ্যুৎ গেছে। অন্য সময়েও একই সমস্যা।
বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখা গেছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম দক্ষিণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামসুল আলম বলেন, বৃষ্টির প্রথম মৌসুমে বিদ্যুতের এরকম সমস্যা হয়। কারণ বিদ্যুতের লাইন ছিড়ে যাওয়া, গাছ ভেঙে পড়াসহ বিভিন্ন কারণে সাময়িক বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতে হয়। মঙ্গলবার ঝড়ো হাওয়ায় নগরের অনেক এলাকায় লাইনে সমস্যা হযেছে, এসব সংস্কার করতে ও নিরাপত্তার স্বার্থে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছে।
এখন মোটামুটি সব এলাকায় বিদ্যুতের লাইন চেক করা হয়েছে। যেসব লাইনে সমস্যা ছিলো তা সংস্কার করা হয়েছে।