চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামে আজ মঙ্গলবার বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে টানা জলাবদ্ধতায় ত্রাহি অবস্থা নগরবাসীর। পানি ঢুকেছে অনেক বাড়িতে। নগরের ষোলশহর, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, কাপাসগোলা, বাকলিয়ায় হাঁটু পরিমাণ পানি জমার কারণে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
এছাড়া নগরীর অক্সিজেন, হামজারবাগ, আতুরার ডিপো, শুলকবহর, কাতালগঞ্জ, নাসিরাবাদ, বায়োজিদ, ষোলশহর দু’নম্বর গেট, চকবাজার, পাঁচলাইশ, ডিসি রোড, খাজা রোড, চান্দগাঁও, মোহরা, চাক্তাই, রাজাখালি, দেওয়ানবাজার, আগ্রাবাদ, ছোটপুল, বড়পুল, সিডিএ, হালিশহর, পাহাড়তলী, সরাইপাড়া, সাগরিকা, কাঁচারাস্তার মাথা ও পতেঙ্গার নিম্নাঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানি ঢুকে পড়েছে সরকারি বেসরকারি অফিসেও।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তত্সংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালা সৃষ্টির কারণে এই বৃষ্টিপাত হচ্ছে।আবহাওয়া অফিস মঙ্গলবার (৩ জুলাই) সকাল নয়টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১২৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে।
বৃষ্টিতে বাদুরতলা, মোহাম্মদপুর, ডিসি রোড, কাপাসগোলা এলাকায় বাসবাড়িতে তৃতীয় দিনের মতো পানি ঢুকে পড়েছে। কাপাসগোলার বাসিন্দা ইসহাক জানান, গত তিন দিনে এ নিয়ে সাত-আটবার তাঁদের ঘরে পানি ঢুকেছে। বৃষ্টি থামলে পানি নেমে যায়। আবার বৃষ্টি এলে ঘরে হাঁটু থেকে কোমর পানি হয়।
এ ছাড়া বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে অফিসগামীরা এবং স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও দুর্ভোগে পড়েছেন। তিন দিন ধরে নগরে যানবাহন চলাচল কমে গেছে। এই সুযোগে রিকশাভাড়া দ্বিগুণ হয়েছে।
এদিকে, পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তর আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে। একই কারণে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।