আর্ন্তজাতিক ডেস্ক :
ভারতের বিহার ও উত্তরপ্রদেশ থেকে জীবিকার টানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্যে আসা হিন্দিভাষীদের উপরে হামলা শুরু হয়েছে। এই হামলা থেকে বাঁচতে গুজরাট ছাড়ছে শত শত মানুষ। এ খবর জানিয়েছে কলকাতার বাংলা পত্রিকা আনন্দবাজার।
ওই রাজ্যের স্টেশনগুলিতে চোখে পড়ার মতো ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু রাজ্য পুলিশের ডিজি বলছেন, ‘বহিরাগতেরা উৎসবের মরসুমে বাড়ি ফিরলে তার অন্য মানে করা উচিত নয়।’
১৪ মাসের একটি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সবরকণ্ঠা জেলার হিম্মতনগরের কাছে গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিহারের এক বাসিন্দা গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দিভাষী বহিরাগতদের উপর হামলা শুরু হয়েছে।
রাজ্য পুলিশের ডিজি শিবানন্দ ঝা বলেন, ‘ছ’টি জেলায় হিংসা ছড়িয়েছে, যার মধ্যে সব চেয়ে খারাপ অবস্থা মেহসানা এবং সবরকণ্ঠার।’ ডিজি জানান, গাঁধীনগর, পাটান এবং অমদাবাদেও হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা হয়েছে ৪২টি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোর অভিযোগে দু’জনকে চিহ্নিত করেছে সাইবার ক্রাইম সেল। রাজ্য রিজার্ভ পুলিশের ১৭ কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হয়েছে উপদ্রুত এলাকাগুলিতে।
অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় নেতাদের ক্রমাগত হুমকির কারণেই হিন্দিভাষীরা দলে দলে গুজরাট ছাড়ছে। ডিজি বলেছেন, ‘অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছি দরকারে বাস স্ট্যান্ড ও স্টেশনে গিয়ে খতিয়ে দেখতে যে, ভয়ের কারণে কেউ পালাচ্ছেন কি না। সে ক্ষেত্রে কথা বলে তাদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।’
হিন্দিভাষীদের আক্রমণের ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে গুজরাটের ঠাকোর সম্প্রদায়ের দিকে। যদিও এ কথা উড়িয়ে দিয়েছেন ঠাকোর নেতা তথা কংগ্রেস বিধায়ক অল্পেশ ঠাকোর।
শান্তি-সম্প্রীতির বার্তার পাশাপাশি অল্পেশ হুমকি দিয়েছেন যে, তার সমর্থকদের উপর থেকে মিথ্যা মামলা তোলা না-হলে আগামী ১১ অক্টোবর থেকে ‘সদ্ভাবনা অনশন’ শুরু করবেন তিনি। অল্পেশের অভিযোগ, বেসরকারি কারখানাগুলিতে অল্প মাইনেতে কাজ দেওয়া হয়েছে বহিরাগতদের। ৮০% চাকরি স্থানীয়দের পাওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে তা হয়নি।
ইতিমধ্যে গুজরাটের শিল্পনগরীগুলিতে মোটরসাইকেলে এসে বহিরাগত কর্মীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কয়েক জনের বিরুদ্ধে।