নিজস্ব প্রতিবেদক
জধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় নির্বাচন কমিশন ভবনে সোমবার সকাল ১১টায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৩৬তম প্রস্তুতি সভায় যোগ দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাসহ অন্য চার কমিশনার। আলোচনা শুরুর কিছুক্ষণের মাথায় নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে সভা থেকে বেরিয়ে যান কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা অন্য তিন নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরীকে নিয়ে বৈঠক চালিয়ে যান। বৈঠকে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে না পারায় বিকাল ৩টা পর্যন্ত সভা মূলতবিও করা হয়।
জানা গেছে, নির্বাচনের স্বার্থে পাঁচটি বিষয় নিয়ে সভায় বক্তব্য উপস্থাপন করতে না পারায় সভা বর্জন করেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
ওই ৫ বিষয় হল–
১. নির্বাচনী দায়িত্বে সেনাবাহিনীর কার্যপরিধি নির্ধারণ।
২.সবার জন্য সমান সুযোগ রেখে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আয়োজন।
৩. ভোটে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা।
৪. ইসির সক্ষমতা বৃদ্ধি।
৫. এবং সরকারের সঙ্গে সংলাপ নিয়ে বক্তব্য দিতে চেয়েছিলেন।
আর এসব প্রস্তাব তিনি গত ৮ অক্টোবর কমিশনকে লিখিত আকারেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু সোমবারের বৈঠকে তাকে এই পাঁচটি বিষয়ে বক্তব্যের সুযোগ দেয়া হয়নি। যার কারণে জ্যেষ্ঠ এ নির্বাচন কমিশনার ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়ে সভা বর্জন করেন।
সভা থেকে বেরিয়ে এসেছেন কি না সাংবাদিকের এক প্রশ্নে মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘হ্যাঁ। আমি নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে বেরিয়ে এসেছি।’
কী কারণে সভা বর্জন করেছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাই না। যা বলার কমিশনকে বলেছি।’
‘নোট অব ডিসেন্টে’ তিনি লিখেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন কোনোভাবেই আমার অধিকার খর্ব করতে পারে না, বাক স্বাধীনতা ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা আমার সংবিধানপ্রদত্ত মৌলিক অধিকার। এমতাবস্থায় অনন্যোপায় হয়ে আমি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছি এবং প্রতিবাদ স্বরূপ কমিশন সভা বর্জন করছি।’
এর আগে গত ৩০ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের আরেক সভায় ইভিএম কেনার বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে সভা বর্জন করেন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে আজকের সভায় দুইটি এজেন্ডার মধ্যে ছিল- আগামী জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে সর্বশেষ প্রস্তুতি নিয়ে ইসি সচিব থেকে কমিশনারদের অবহিতকরণ ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণ। এ ছাড়া জাতীয় নির্বাচনের তফসিল কবে ঘোষণা হবে সে বিষয়েও সভায় সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল।