এম এম খালেদ :
করোনার ভয় উপেক্ষা করে চট্টগ্রামের সড়কে বেড়েছে যানবাহন। প্রতিনিয়ত বাড়ছে যানবাহনের চাপ। এতে তৈরি হচ্ছে করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি।
সড়কে যানবাহনের বহর দেখে মনে হচ্ছে দেশ থেকে বিদায় নিয়েছে প্রাণঘাতী করোনা। অথচ প্রতিনিয়তই বাড়ছে সংক্রমন। মারা যাচ্ছে মানুষ। প্রতিদিনিই নগরের সড়কগুলোতে দেখা গেছে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ।
নগরের নিউমার্কেট, স্টেশন রোড, মুরাদপুর, আগ্রবাদ, দুই নম্বর গেইট, জিইসি মোড়সহ ব্যস্ত সড়কে প্রচুর যানবাহন দেখা যাচ্ছে। ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি কিছু কিছু রুটের গণপরিবহনও চলছে। বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে যানজট।
প্রথমদিকে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা যানবাহন চলাচলে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করলেও বর্তমানের অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। ট্রাফিক পুলিশ এখন যানজট নিয়ন্ত্রনে ব্যস্ত। মোড়ে মোড়ে যানজট দেখে একটি প্রশ্নই মাথায় আসে, করোনা কি বিদায় নিয়েছে?
তবে পরিসংখ্যান বলছে ভিন্ন কথা। প্রতিদিনই বন্দর নগরী চট্টগ্রামে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
গত ১৩ মে নগরের তিন ল্যাব ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবে ৩৬৯টি নুমনা পরীক্ষা করে ৯৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫১২ জনে।বুধবার (১৩ মে) রাত সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তবে গাণিতিক হারে করোনা রোগী বাড়লেও কারও যেন কোন মাথাব্যথা নেই। সবাই ইচ্ছে মত বাজার করছে, গাড়িতে চড়ছে। সামাজিক দূরত্ব বলে যে কিছু একটা আছে সেটা চট্টগ্রাম নগরীতে অন্তত বোঝা যাবে না। গলির মোড়ে মোড়ে চলছে আড্ডা। এ ধরণের অসচেতনতার ফলে পরিস্থিতি যে কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেটা কেউই জানে না।
প্রশাসনের কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন এভাবে সবাই ঘরের বাইরে চলে আসায় বাড়ছে করোনা ঝুঁকি।
ডিসি ট্রাফিক (দক্ষিণ) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, আমাদের সদস্যরা করোনার ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের গাড়ির ডকুমেন্ট চেক করতে হয়, গাড়ি আটক করলে ডাম্পিংয়ে নিতে হয়। সড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের কারণে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
প্রশাসনের কাছে অনুরোধ এখনই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হোক। নাহলে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জের পর চট্টগ্রামই হবে করোনার পরবর্তী হটস্পট।
সম্পাদক
বিডিজার্নাল৩৬৫ডটকম